ঢাকা , রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ , ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ফিরে দেখা-২০২৪

বিতর্ক দিয়ে শুরু, অস্থিরতায় শেষ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৩:৫৬:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৩:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন
বিতর্ক দিয়ে শুরু, অস্থিরতায় শেষ ​ফাইল ফটো

আজ বিদায়ী বছরের শেষ দিন। কাল নতুন বছরের শুরু। বিদায়ী বছর শুরু হয়েছিল নতুন কারিকুলামের বিতর্ক দিয়ে। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ট্রান্সজেন্ডার গল্প নিয়ে তুমুল বিতর্কের ঝড় শুরু হয় গোটা দেশজুড়ে। বছরজুড়ে কারিকুলাম বিতর্ক চলতে থাকলেও তুমুল বিতর্ক মূলত মার্চ পর্যন্ত গড়িয়েছে। 

বিদায়ী বছরে ডজনখানেক ইস্যুতে আলোচনায় ছিল শিক্ষাখাত। তবে, শিক্ষাঙ্গণ ছিল মূল আলোচনার কেন্দ্রে। বৈষম্যহীন কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের দাবিতে জুনের প্রথমার্ধ থেকে উত্তাল হয়ে উঠে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়। আওয়াজ জোরালো হলে দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দাবির পক্ষে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে অনড় ছাত্ররা নিজ প্রাণ উৎসর্গ করতে দ্বিধা করেনি। 

জুলাই বিপ্লবের আগের ছয় মাস ও পরের চার মাস আরও কয়েকটি ঘটনার জন্ম দেয় শিক্ষা খাত।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচিত মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে সরিয়ে দেওয়া, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি, পাঠ্যবইয়ে ভুল এবং ইসলাম বিদ্বেষী নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বুয়েটে সব ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল, সর্বজনীন পেনশন বাতিলে শিক্ষকদের টানা কর্মবিরতিতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা, আগস্ট পরবর্তী বদলি-পদায়ন নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে অস্থিরতা, এইচএসসির অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিলে চরম বিতর্ক, শিক্ষাঙ্গণে মব জাস্টিস ‘নৃশংসতা’, লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষকরা এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল নিয়ে প্রশংসার মতো ঘটনাগুলো শিক্ষা খাতের আলোচনায় ছিল। ডজনখানেক এসব ঘটনার কারণে বিদায়ী বছর শিক্ষা খাত ছিল দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যমনি।

শিক্ষাপ্রশাসনে অস্থিরতার দাগ রেখে শেষ হচ্ছে বিদায়ী বছর। নতুন বছরটিও শুরু হচ্ছে অস্থিরতা দিয়ে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, ডিএস পুলে মেধার ভিত্তিতে সকল ক্যাডার থেকে নিয়োগ, সকল ক্যাডারে সমতা তৈরি করে বৈষম্য নিরসন করার দাবিতে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি ১৬ হাজার সরকারি শিক্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি ডেকেছে। শিক্ষকদের এই অসন্তোষ তাতে হয়ে উঠবে বোঝার ওপর শাকের আঁটি। 

এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্লা বলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব করেছে- প্রশাসন ক্যাডার সেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যেসব অযৌক্তিক প্রস্তাব ও রিঅ্যাকশন দেখিয়ে তারা সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র নেমেছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাব। পাশাপাশি বৈষম্য নিরসন করার দাবি ও প্রস্তাব জানানো হবে। ওই প্রতিবাদ সভা থেকে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

২০২৫ সালটি এবার গোটা জাতির কাছে ভিন্ন রকমের; আশা-আকাঙক্ষা এবং চেতনার। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সারা বিশ্বের আলোড়ন ঘটানো ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন বছরে শিক্ষা খাতে নতুন কোনো বার্তা নিয়ে আসবে- সেই প্রত্যাশাই সবার।

‘শরীফ থেকে শরীফা গল্প’ নিয়ে তুমুল বিতর্ক
বিদায়ী বছরে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীরা হাতে পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা বিতর্ক। সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে উত্তাপ বাড়ায় ‘শরীফার গল্প’। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায়ের গল্পটি নিয়ে আপত্তি তোলে একটি পক্ষ। বিষয়টি বেশি আলোচনায় আসে গত ১৯ জানুয়ারি। ওইদিন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব নতুন পাঠ্যবইয়ে একটি সেমিনারে বই থেকে ওই গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন এবং অন্যদেরও ছেড়ার আহ্বান জানান। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে পরিমার্জনের লক্ষ্যে ২৪ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে আলোচিত ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা প্রশাসনে অনিয়ম-দুর্নীতির দুই বরপুত্র
শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ডা. দীপু মনির আমলে (২০১৯-২০২৩) ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নতুন শিক্ষাক্রম, শিক্ষা প্রশাসনে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কলেজের অধ্যক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল দীপু মনির বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গঠিত শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদে তাঁকে রাখা হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার দায়িত্ব পান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি দীপু মনির সঙ্গে তার আগের পাঁচ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী ছিলেন। 

তবে নওফেল দায়িত্ব নেওয়ার পর উল্টো আগের চেয়ে ঘুষ-দুর্নীতি, দলাদলি ও দ্বন্দ্বে স্থবির হয়ে পড়েছিল শিক্ষা প্রশাসন। বিশেষ করে তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) অমিত কুমার বসু শিক্ষা খাতে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট। মন্ত্রীর কোটায় নিজ স্ত্রীকে চাকরি দেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বদলি-পদায়নে একক রাজত্ব গড়ে তোলেন। শিক্ষার প্রভাষক থেকে অধ্যাপক, সহকারী পরিচালক পদ থেকে পরিচালক পদ এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদগুলোতে লোক বসিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। পদভেদে টাকা নিতেন ৩ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিলেন মন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সচিব মো. শাহগীর আলম। পাশাপাশি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে উল্টা-পাল্টা সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। তিনি শিক্ষাঙ্গনে ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে কটাক্ষ করেন। সবমিলিয়ে নওফেলের সাত মাসের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে শিক্ষাপ্রশাসন।

কোটাসংস্কার আন্দোলন যেভাবে রূপ নেয় বিপ্লবে
ছাত্র আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করা হয়। কোটা বাতিলে সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন ২০২৪ সালের ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৬-১০ জুন পর্যন্ত তারা প্রথম পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন। মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালান শিক্ষার্থীরা। ৩০ জুন থেকে শুরু হয় বড় কর্মসূচি। তাতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। পরে ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের পর ৭ জুলাই ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আন্দোলন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। অন্যদিকে পাল্টা অবস্থান নিতে শুরু করে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। ৯ জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর নৃশংস হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। 

১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদ শহীদ হন। একই দিন আরও কয়েকজন মারা যান। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। ১৭ জুলাই রাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সারাদেশে ইন্টারনেট সেবাও শাটডাউন করে সরকার। ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই কারফিউ ভেঙে সারাদেশে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। ২২ জুলাই সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। ক্রমে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। দমন-পীড়নের মধ্যেও রাজপথ দখলে নেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শেখ হাসিনার পতনের ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়। ৪ আগস্টও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকেন। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ডাকে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে লাখো জনতা ঢাকায় জড়ো হন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীদের হাত ধরে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

এইচএসসি পরীক্ষায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা 
কোটা আন্দোলনের কারণে বিদায়ী বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। আন্দোলনে বিভিন্ন থানায় থাকা পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন পরীক্ষা স্থগিত থাকে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করলেও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জিম্মি করে দাবি আদায় করেন। এতে অর্ধেক বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের পরও শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ অসন্তুষ্টি জানায়। তারা অটোপাস দেওয়ার দাবিতে আবার আন্দোলনে নামেন। এমনকি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের রুম ভাঙচুরও চালান। তবে ফেল করা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হালে পানি পায়নি। সরকার তাদের দমন করে আন্দোলন থামিয়ে দেয়।

পদ নিয়ে অস্থিরতা
শিক্ষাপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে নিজেদের পছন্দের লোক বসিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এতে পদে পদে অনিয়ম ও দুর্নীতির উৎসব চলে। গড়ে ওঠে বহু সিন্ডিকেট। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পুরোপুরি না হলেও শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে শিক্ষাসচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান-সদস্য, মাউশির মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ইউজিসির চেয়ারম্যান-সদস্য, পিএসসির চেয়ারম্যান-সদস্য পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়। এর বাইরে ৫০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ নতুন প্রশাসন নিয়োগ করে সরকার। অসংখ্য কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদে রদবদল করা হয়েছে। ফলে একযোগে শিক্ষা প্রশাসনের সব জায়গায় নতুনরা এসেছেন। এতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষাখাত। নতুন দায়িত্বরতরা কাজ না বুঝার কারণে শিক্ষা খাতে অস্থিরতা এখনও কাটেনি। 

লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষকরা
টানা প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের চেয়ারেও ছিলেন দলটির অনুসারীরা। হঠাৎ শেখ হাসিনার পতন ও দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিপাকে পড়েন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরাও। পেশাজীবী হলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তাদের পড়তে হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সেই বিক্ষোভ ও পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করানোর প্রক্রিয়া ছিল দৃষ্টিকটু। সেখানে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রথম দিকে সরকার বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকলেও পরে দফায় দফায় নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঠেকানোর চেষ্টা করে। তবে আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবরজুড়ে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো শিক্ষকদের পদত্যাগ করানোর লাঞ্ছনার ঘটনায় কলুষিত হয়েছে।

বাংলা স্কুপ/এএইচ/এসকে

ফিরে দেখা ২০২৪
রাজধানীজুড়ে ছিলো সীমাহীন ভোগান্তি
বছরের শুরুতে কোনঠাসা, শেষে ক্ষমতার কাছাকাছি বিএনপি
আলোচনায় হত্যাকাণ্ডের ৭ ঘটনা, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
​বিদায়ী বছরের সেরা ব্যক্তি আবু সাঈদ!



প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ